এবার পবিত্র কোরআন অবমাননার জন্য পশ্চিমাদের তিরস্কার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্য মুসলিম নেতারা। বাকস্বাধীনতা রক্ষার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে মুসলিম নেতারা কোরআন অবমাননার নিন্দা জানান। খবর আল-আরাবিয়ার।
সম্প্রতি সুইডেনে কয়েক দফায় পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদের মুখে এসব ঘটনার নিন্দা জানালেও দেশটির সরকারের দাবি, স্বাধীন মতপ্রকাশের আইনের অধীনে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। কুর্দি কর্মীদের স্বাগত জানানোর জন্য সুইডেনের ওপর কয়েক মাস ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইসলামোফোবিয়াসহ বর্ণবাদ উসকে দিচ্ছে। এটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, অনেক দেশের পপুলিস্ট রাজনীতিবিদরা এই ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতাকে উৎসাহিত করে আগুন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। যে মানসিকতা ইউরোপে বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশে পবিত্র কোরআনের বিরুদ্ধে জঘন্য আক্রমণকে উৎসাহিত করে, তা মূলত নিজের হাতেই (ইউরোপ) নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছে,’ যোগ করেন এরদোয়ান।
এদিকে, জাতিসংঘের অধিবেশনে কোরআন হাতে নিয়ে পবিত্র এই গ্রন্থ অবমাননার নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বাক স্বাধীনতার অজুহাতে পশ্চিমারা অন্যদিকে সবার মনোযোগ সরাতে চাইছে উল্লেখ করে রাইসি বলেন, ‘অসম্মানের আগুন ঐশ্বরিক সত্যকে আড়াল করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামোফোবিয়া এবং সাংস্কৃতিক বর্ণবৈষম্য দেখা যাচ্ছে। পবিত্র কোরআন অবমাননা থেকে শুরু করে স্কুলে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য অনেক শোচনীয় বৈষম্য মানব মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে।
এ সময় ফ্রান্সের প্রতি ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেন রাইসি, কারণ দেশটিতে বিতর্কিতভাবে মুসলিম মেয়েদের স্কুলে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমা এবং একইসঙ্গে ইসলামী বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার বক্তৃতায় বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের পবিত্রতার (ধর্মীয়) সঙ্গে আপস করাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে দেখা উচিত নয়।